পড়াশুনার অর্থ কি নিজের ইচ্ছাকে বিসর্জন দেওয়া ?

স্কুল-কলেজের শিক্ষা অনেকাংশে ব্যর্থ নয় , অনেক স্থলে মারাত্মক । ফেইসবুক পেইজ

প্রমথ চৌধুরীর 'সাহিত্যে খেলা' প্রবন্ধটিও মনে সাহস জোগায়। তিনি সাহিত্যকে খেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। খেলার মাঠে বর্ণবৈষম্য নেই, ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, নমঃশূদ্র, চাড়াল সবাই খেলতে পারে। সবাই সমান পারদর্শীও নয়। সাহিত্যের আসরেও থাকতে পারে ছোট-বড়, খ্যাত-অখ্যাত, কুখ্যাত-উপেক্ষিত লেখক।
কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এত বেশি বর্ণবৈষম্য যে ছোট ছোট বাচ্চারাও এর হাত থেকে রেহাই পায়না , আর এতটাই ঘৃণিত যে যিনি শেখার জন্য স্কুল-কলেজে যায় তাকেই সবার আগে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় । 
তাই সাহিত্য আর শিক্ষার মধ্যে বিরাট তফাত বিদ্যমান, শিক্ষকের বেত্রাঘাত কখনো সাহিত্য হতে পারেনা ।
আমাদের দেশের শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু শেখানো , তবে তা বাস্তবিক নয় কাল্পনিক ধারনা । সেখানে শিক্ষার্থীরা প্রাধান্য পায়না , প্রাধান্য পায় শিক্ষকেরা । 
আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য শেখানো নয় বরং আনন্দ দেওয়া , যার মাঝে হাজারো শিক্ষণীয় বস্তু লুকায়িত থাকে । 

0 মন্তব্য(গুলি) :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন