আমরা সবাই জানি সব মানুষের ভিতর আলাদা আলাদা প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।এবং তা নিয়মিত চর্চা করা অবশ্যই দরকার।এইতো কইদিন আগে আপনারা একটা টিউনে লক্ষ্য করেছেন যে ”স্টিভ জবসন” একটা ইউনিভার্সিটিতে তার বক্তব্যে বলেছিলেন সবাই যেন নিজের প্রতিভাকে খুজে বের করে। এবং সেই কাজই তিনি করতে বলছেন যে কাজের জন্য তারা উপযুক্ত। তাহলে আপনারই বলুন ১ম-১২ম শ্রেনী পর্যন্ত আমরা এতগুলা বই মুখস্ত করে আসছি। কোন কিছু আধা বুঝি তা আরেকটা আধা বুঝে আসছি। ক্লাসের স্যারদের ফালতু বক বক লেকচার শুনে আসছি,যা আমাদের বাস্তব জীবনে কোন প্রয়োগ নেই,কাজে লাগে না, টিচারদের বাসায়/কোচিং-এ দৌড়া-দৌড়ি করি তাহলে আমাদের সেই সমায়টা কোথায় যখন আমরা আমাদের প্রতিভার চর্চা করব?
ক্লাসের মাঝে তো mental আর physical torture তো আছেই। এখনও ভাল ভাল নামি-দামি স্কুল কলেজের ক্লাসে এইসব হচ্ছে। আবার অনেক স্যারদের কাছে প্রাইভেট না পড়তে গেলে পরীক্ষার খাতায় ঠিকমত নম্বর দেন না।এইসব শিক্ষার নামে দুর্নীতি। আবার আমাদের দেশের নতুন একটা ঢং হইতেছে চুল নিয়ে। চুল একটু বড় হলেই একটা ছাত্রের উপর শারিরীক এবং মানসিক অত্যাচারের শেষ থাকে না। একজন শিক্ষক কি এইসব চিন্তা করেন না?? যে তাদের এই ধরনের আচরন একটা শিক্ষার্থীর উপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে? কে জানে?
আমরা তো সবাই রোবট এর মতো হয়ে গেছি।এখন পর্যন্ত ssc hsc পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক টিচার এর কাছে যেতে হয়, অনেক কোচিং সেন্টারে যাওয়া লাগে।টিচার-কোচিং এর বেতন তার উপর স্কুল-কলজের বেতন তো আছেই।কিন্তু উন্নত বিশ্বে প্রাইভেট-কোচিং পড়ানোর কোন সিস্টেম নাই।তাহলে ঐ সব জায়গার মানুষ কি শিখছে না?পড়া-লেখা সারা পৃথিবীর মানুষেরা করে না।স্কুল-কলেজ থাকতে আবার কোচিং কিসের?কিন্তু ক্লাসে এ কত-টুকু শিখানো হয়?আপনারাই বলুন।আপনার পরিচিত জনেরা,এমন কি আপনি নিজেও প্রাইভেট পড়ছেন,কোচিং এ গেছেন।এইটা কি কোন ভাল শিক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়?
অথচ এই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই । আমরা আমদের রুচি,পোষাক,আচারণ,ভাষা,আরো অনেক কিছু পৃথিবীর উন্নত সব জাতিদের অনুসরন করার চেস্টা করি।ভাল-খারাপ অনেক কিছুতেই তাদের অনুসরন করার চেস্টা করে থাকি।কিন্তু কেন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা অনুসরন করে থাকি না আমি এখন ও বুঝতে পারি না।
ছোটবেলায় আমরা সকলেই শুনে এসেছি ”পড়া লেখা করে যে গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে সে”।আর আমি বলব ”বাংলাদেশের পড়া লেখা করে যে গাধার পাশে পাশে হাটে সে”।যদিও আমি সেরকম একজন-ই মানুষ যে কিনা গাধার পাশে পাশে হাটে।আমরা সবাই।আমরা সবাই এর নির্মম পরিস্থিতির শিকার।আমি আপনি সবাই।
বাংলাদেশে কত মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।সারাদিন-সারারাত বই-এর পাশে বসে থেকে মুখস্ত করে।বই এর সব পাতার লাইন মুখস্ত করবে,আর তা পরীক্ষার খাতায় লিখে আসবে।আমার মনে হয় এইসব-পড়া লেখার কোন দাম নেই।এই করে কেও যদি জীবনে খুব ভাল জায়গায় দাড়ায় আমি তাকে খুব একটা বাহবা দিব না।দুই-একটা বই এর সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল থাকতে পারে।কিন্তু আপনি জ্ঞানী বা চিন্তাশীল মানুষ হতে পারবেন না।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন