পড়াশুনার অর্থ কি নিজের ইচ্ছাকে বিসর্জন দেওয়া ?

স্কুল-কলেজের শিক্ষা অনেকাংশে ব্যর্থ নয় , অনেক স্থলে মারাত্মক । ফেইসবুক পেইজ


নিজের ইচ্ছা কে বিসর্জন দেওয়ার শিক্ষা আর না।
দিন দিন আশংকা জনক হারে শিক্ষার বানিজ্যিকীকরন বেড়েই চলেছে।
এক সময় শৈশবে নদীর জল,বরই,লিচু বাগান, আর আম গাছের ডালে শিশুরা পেতো প্রকৃতির হাতছানি,
প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের অকৃত্রিম আদর আর ভালোবাসায় তারাপার করতো প্রাথমিক শিক্ষা।
গোল্লাছুট, হাডুডু, কানামাছি আর ডাঙ্গুলি,কিংবা বাবার সাথে মাছ ধরে তারা পাড়ি জমাতো মাধ্যমিকেরআঙ্গিনায়।
গ্রামের সকল গাছের ফল-ফলাদি কিশোরেরা নিজেদেরই মনে করতো। তাদের আনন্দে কখোনো ভাটা পড়তো না।
তারা সব কিছুর অভাব দেখলেও মূল্যবোধের অভাব দেখতো না ।
আর এখন সব শিশুকেই সব কিছু জানতে হবেই?
আর এখন মায়ের পেট থেকে বের হলেই তাকে ভর্তি করতে হবে নামি দামি কোনো স্কুলে।
তাকে বইতে হবে তার ওজনের ও বেশি বইয়ের বোঝা।
তাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় পড়তে হবে কতৃপক্ষের খুশি মতো অনেকগুলোবিষয়।
তার উপর এক বিষয়ে একাধিক গৃহ শিক্ষক। অথবা প্রতি বিষয়ের জন্যশিক্ষকদের বাসায় বাসায় গিয়ে দিন শেষ করা।
এখন শিক্ষক রা শ্রেনীকক্ষে পড়া শেষ করতে পারবেন না । তাই তাদের কে যেতেই হবে শিক্ষকদের বাসায়।
এভাবে তাদের মূল্যবান সময় গৃহশিক্ষক কিংবা শিক্ষকদের বাসায় গিয়ে নষ্ট করে তারা সৃষ্টিশীল প্রতিভার বিকাশ বা
নিজেরা নতুন কিছু করার সময় সুযোগ পান না

0 মন্তব্য(গুলি) :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন